আত্মবিশ্বাস কে যত বেশি প্রশ্রয় দিবে, তত বেশি সেটা আপনাকে কুঁকড়ে খাবে!

আত্মবিশ্বাস

 

অলসতা হতাশার পাল্লাকে ভারি করে। অজুহাত সফলতাকে বেহাত করে। অন্যের উপর নির্ভরতা দুঃসময়কে দীর্ঘায়িত করে। তাই অলসতা, অজুহাত আর অন্যের দয়ার দিকে না তাকিয়ে নিজের দিকে তাকাও। দেখবে সফল হওয়ার জন্য যতটুকু শক্তি, সামর্থ্য, সময় দরকার তার পুরোটাই তোমার মধ্যে আছে। শুধু একটা জিনিস নাই। সেটা হচ্ছে- আত্মবিশ্বাস। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে, আত্মবিশ্বাসের কোন ট্যাবলেট নাই। মন্ত্র নাই। কোন ভিডিও বা মোটিভেশনাল লেখাতে যতটুকু আত্মবিশ্বাস গজায়, সেটা লেখা শেষ হওয়ার আগেই হারিয়ে যায়।

একটু খেয়াল করলে দেখবে- যে কোনদিন গাড়ির স্টিয়ারিং ধরে নাই। খোলা মাঠেও গাড়ি চালানো প্রাকটিস করে নাই। সে ব্যস্ত সড়কে গাড়ি চালানোর কনফিডেন্স পাবে না। যে খেলোয়াড় ঘরোয়া লীগ খেলে নাই, ট্রেনিং ক্যাম্পে যায় নাই, সে বিশ্বসেরাদের এগিনিস্টে দাঁড়ানোর আত্মবিশ্বাস পাবে না। কারণ আত্মবিশ্বাস মনের জোর না, ট্রেনিংয়ের জোর। কনফিডেন্স ম্যাজিক পিল না, ডেভেলপ করা স্কিল। এটা কাজ শুরু করার ইনপুট না, আউটপুট। তাই আত্মবিশ্বাস না খুঁজে, চেষ্টা করার অভ্যাস ডেভেলপ করো। লাভ-লসের হিসাব না করে, যত বেশি লেগে থাকবে, যত বেশি ঘাম ঝরাবে, তত বেশি কনফিডেন্ট হবে। তত দ্রুতগতিতে বাধার দেয়াল টপকাতে পারবে।

প্রত্যেকটা বাধার দেয়াল দেখতে চায়, তুমি কতটা মরিয়া হয়ে সফল হতে চাচ্ছ। তাই স্বপ্নটা প্ল্যানের খাতায় না রেখে, কাজের খাতায় রূপান্তরিত করো।

 সিম্পল চারটা স্টেপে তুমি এটি করতে পারবে

স্টেপ-১: নিজেকে দুই থেকে তিন দিনের ডেডলাইন দাও। গুগলে সার্চ মেরে, আশেপাশের কাউকে জিজ্ঞেস করে- ড্রিম রিলেটেড ফিল্ডের ইনফরমেশন কালেক্ট করো। শূন্য থেকে শুরু করার, কোনরকম একটা টার্গেট সেট করো।

স্টেপ-২: পরের সপ্তাহে কমপক্ষে ১০ ঘন্টা সময় দাও। দরকার হলে, কাউকে হুবহু অনুকরণ করো। টার্গেট ফিনিশ করতে না পারলেও মিনিমাম ১০ ঘণ্টা সময় দাও।

স্টেপ-৩: তারপরের সপ্তাহে আরো ১০ ঘন্টার টার্গেট নিয়ে নামো।

স্টেপ-৪: রিপিট স্টেপ থ্রি। ব্যস, এইভাবে দুই-তিন মাস সময় দিতে থাকলে; কনফিডেন্স, একসাইটমেন্টের খনি পেয়ে যাবে।

আজাইরা উপদেশ, জ্ঞান দিতে আসা পাবলিকদের কথার দিকে খেয়াল না করে, তাদের কাজের দিকে খেয়াল করো। যারা তোমার ড্রিমের ফিল্ডে অনেক দূর এগিয়ে আছে, শুধু তাদের কথা গোনায় ধরো। কোন কারণে ব্যর্থ হলে, অজুহাত-দোষী ব্যক্তি না খুঁজে, অল্টারনেটিভ রাস্তা খুঁজো। আবারও চেষ্টা করো। কঠোর পরিশ্রম করো। কারণ, দুনিয়াতে সফল হওয়ার একটাই শর্টকাট- হার্ড ওয়ার্ক।

 ওয়ার্ক হার্ড নিয়ে চুলকানি:

“ডোন্ট ওয়ার্ক হার্ড, ওয়ার্ক স্মার্ট”- বলে হাত পা ঘুটিয়ে বসে থাকা যাবে না। কারণ কোনটা স্মার্ট উপায় আর কোনটা আনস্মার্ট উপায় সেটা বাস্তব দুনিয়াতে হার্ড ওয়ার্ক করেই বের করতে হবে। চার-পাঁচটা লম্বা পথে না হাঁটলে, কোনটা সহজ আর কোনটা ঝামেলার সেটা বুঝতে পারবে না। একটা সময় পরে, উপদেশ দেয়ারও কেউ থাকবে না। তখন নিজেই গুতায় গাঁতায় সব রাস্তা বের করতে হয়। তার উপরে বড় সমস্যা হচ্ছে, আজকে যেটা স্মার্ট ওয়ার্ক, কালকে দেখা যাবে অন্যরা একই সিস্টেম ফলো করতেছে। সো, ওয়ার্ক স্মার্ট তখন কমন হয়ে যাবে। স্মার্ট থাকবে না। তাই তখনকার সিচুয়েশনে, তখনকার কন্ডিশনে হার্ডওয়ার্ক করেই তখনকার সিচুয়েশনের জন্য স্মার্ট রাস্তা বের করতে হবে।

এতো কথার মোদ্দা কথা- ওয়ার্ক স্মার্টলি বলে আলাদিনের কোন চেরাগ নাই। ওয়ার্ক স্মার্টলি বলে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকার কোন অপশন নাই। কারণ স্মার্টলি হোক বা আনস্মার্টলি হোক, ওয়ার্ক করতেই হবে। করে যেতেই হবে। আর দিনের পর দিন কাজ করে যেতে থাকলে সেটা হার্ড ওয়ার্কই হবে। সফলতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদানটি হচ্ছে আত্মবিশ্বাস অনেকে আছেন যারা আত্মবিশ্বাসের অভাবেই নিজেকে তুলে ধরতে পারেন না জীবনের লক্ষ্য অর্জনে আত্মবিশ্বাস অর্জনের কোনো বিকল্প নেই..।

আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটা টিপস যা দ্বারা আপনার আত্মবিশ্বাস অনেক বৃদ্ধি পাবে।

 যেকোনো পরিস্থিতি মেনে নিতে শিখুন ।
 নিজেকে বিশ্বাস করুন ।
 কাজের আগেই প্রস্তুতি নিন ।
 কথা বলুন চোখে চোখ রেখে ।
 বিরক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করুন ।
 কখনোই বিষন্নতায় ভুগবেন না ।
 ইতিবাচক চিন্তা করা শুরু করুন ।
 আগ্রহের জায়গায় দক্ষতা বাড়ান ।
 পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও অনুশীলন করুন ।
 মনোযোগ দিয়ে শুনুন, তারপর বলুন ।
 নেতিবাচক মানুষের সংগ ত্যাগ করুন ।
 মেরুদণ্ড সোজা ও মাথা উচুঁ করে হাঁটুন ।
 নিজেকে সব সময় সঠিক ভাবা বাদ দিন ।
 নিজের প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তিগুলো লিখে ফেলুন ।
 অঙ্গভঙ্গীতে আত্মবিশ্বাসী ভাব ফুটিয়ে তুলুন ।
 নিজের ব্যাপারে নেতিবাচক কথা বলবেন না ।
 মানুষজনের সাথে মিশুন ও নেটওয়ার্ক বাড়ান ।
 নিজেকে আত্মবিশ্বাসী হিসেবে উপস্থাপন করুন ।

🎲 আপনাকে বিনীত ভাবে অনুরোধ করছি যদি আমাদের এই ছোট্ট উদ্যোগ আপনাদের ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করে আমাদের কাজের স্পৃহা আরো বাড়িয়ে দিতে আপনারা বিশেষ ভূমিকা রাখবেন এবং সেই সাথে আপনার একটি শেয়ার হয়তো আপনার নিকটস্থ কারো জন্য একটি নতুন দরজা খুলে দিতে পারে । আপনারা সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, ধন্যবাদ সবাইকে ।

2 thoughts on “ আত্মবিশ্বাস কে যত বেশি প্রশ্রয় দিবে, তত বেশি সেটা আপনাকে কুঁকড়ে খাবে!

  1. Phone Tracker

    How to track the location of the other person’s phone without their knowledge? You will be able to track and monitor text messages, phone calls, location history and much more. Free Remote Tracking and Recording of Husband’s Phone Cell Phone Spy. Best Apps to Download for Free to Spy on Another Phone.

  2. Track phone

    Mobile Phone Monitoring App – hidden tracking app that secretly records location, SMS, call audio, WhatsApp, Facebook, Viber, camera, internet activity. Monitor everything that happens in mobile phone, and track phone anytime, anywhere.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *